Uncategorized

ইঞ্জিন ওয়েল নিয়ে কিছু কথা

মোটর সাইকেলের গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস হলো ইঞ্জিন অয়েল। মোটর সাইকেল বা মোটর বাইকে ইঞ্জিন অয়েলের কাজ হলো ইঞ্জিনকে পিচ্ছিল রাখা যেন সহজে ইঞ্জিনের পার্টস মুভমেন্ট হয়। এবং একই সাথে এই ইঞ্জিন অয়েল ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া সঠিক আউটপুট পাওয়ার জন্য ইঞ্জিনের ভেতরে ময়লা জমলে ইঞ্জিন অয়েল সেটা পরিষ্কার করে। ইঞ্জিন অয়েলের মূল নাম হলো মোটর ওয়েল বা ইঞ্জিন লুব্রিকেন্ট কিংবা ইঞ্জিন অয়েল।

ইঞ্জিন অয়েল বা মোটর অয়েল যেটাই বলি না কেন এর গ্রেড নম্বর এবং সঠিক ব্যবহার নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে। অনেকেই অতি উৎসাহী এই ব্যাপারটায়। সবাই জানতে চায় তার মোটর সাইকেল, বাইক কিংবা গাড়ির জন্য কোন গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ভালো হবে। আজ আমরা আলোচনা করবো এই ইঞ্জিন অয়েলের গ্রেড এবং সঠিক ব্যবহার নিয়ে।

10W-30 : এটি ইঞ্জিন অয়েলের একটি বিখ্যাত ব্র্যান্ড। এখানে 10W দিয়ে বোঝানো হয়েছে শূন্য ডিগ্রী সে. তাপমাত্রায় অয়েল কতটুকু জমে যাবে তার মাত্রা। এই W মানে winter কে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু অনেকের একটা ভুল ধারণা w এর মানে (weight). কিন্তু এই w দিয়ে winter ই বোঝানো হয়। এই W এর স্কেল 0 হতে 20 পর্যন্ত হয়ে থাকে। এখানে লগারিদম ভিত্তিক নাম্বার যত কম হবে সেই ইঞ্জিন অয়েল তীব্র ঠান্ডার মাঝেও সহজে ঘন হয়ে জমবে না বরং পাতলা তরল ফর্মেশনে থাকবে এবং ইঞ্জিন স্টার্টাপের সময় খুব দ্রুত সার্কুলেশন হবে যেটা ইঞ্জিনের জন্য জরুরী। 10W-30 এখানে w এর পরের দুটি সংখ্যা দিয়ে তেল এর থার্মাল ভিসকোসিটি উইথস্ট্যান্ড ক্যাপাসিটি বোঝানো হয়।

ইঞ্জিন অয়েল গ্রেড :
পেট্রোল ইঞ্জিন অর্থাৎ বাইকের ইঞ্জিন অয়েল গ্রেডগুলো হলো SA, SB, SC, SD, SE, SF, SG, SH, SJ, SL এবং SM। বেশির ভাগ মানুষ API/SAE-SL/SM (JASO MA or MA2) কোডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করেন এবং উক্ত কোডের মধ্য SM গ্রেডের অয়েল তুলনামূলক ভাবে ভালো। এটার ভালো অক্সিডেশন রেসিসটান্স আছে, ডেপোজিট ও ওয়ার প্রটেকশন করে আবার কম তাপমাত্রায় ভালো কাজ করে। বাংলাদেশের বাইকগুলো যেহেতু ম্যাক্সিমাম ইন্ডিয়ান এবং ইন্ডিয়ার সবগুলো বাইকই ওয়েট ক্লাচ সিস্টেমের সুতরাং আমাদের এই বিষয়টা খেয়াল করে ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে হবে। যার যে বাইক এবং সেই বাইক কোম্পানি যে ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে রিকমেন্ড করে সেই টাইপের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা ভালো।

বিভিন্ন কোয়ালিটি এবং বিভিন্ন গ্রেডের জন্য নিচের ইনফরমেশন থেকে জানা যায় ওই গ্রেড বা ওই ইঞ্জিন অয়েল উক্ত তাপমাত্রার নিচে কাজ করে না।

0° C(32° F) – 5W-20, 5W-30, 10W-30,10W-40,20W-50

-18° C (0° F) – 5W-20, 5W-30, 10W-30, 10W-40.

BELOW -18° C (0° F) – 5W-20, 5W-30. আবার একই গ্রেডে কিছু ভিন্ন টাইপের অয়েল আছে। যা এদের উপাদান এবং তৈরি পদ্ধতির জন্য ভিন্ন হয়।

ইঞ্জিন অয়েলের ক্লাসিফিকেশন : 
সাধারণত যেসব ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা হয় সেগুলোর কোড হল SAE, JASO, MA, MA2, 20W40, 20W50,10W30 ইত্যাদি। এসব কোড ইঞ্জিন অয়েলের কনটেইনারে লেখা থাকে। যেগুলো দ্বারা ওই ইঞ্জিন অয়েল কোন প্রকারের এবং কি জন্য ব্যবহার করা হয় জানা যায়। আসুন আমরা কমন কিছু ইঞ্জিন অয়েলের ক্লাসিফিকেশন জেনে নিই।

API – American Petroleum Institute

JASO – The Japanese Automotive Standards Organization

“S” grade stands for Petrol vehicles. (Sprak Ignition)

“C” grade stands for Diesel vehicles.(Compression)

“W” for winter

Multi grade

Single grade

EP – Extra Pressure

SAE (Society of Automotive Engineers

MA – Grade for Wet Clutch type vehicles (HIGH FRICTION VEHICLES. Non Clutch Slipping Oil)

MA2- next version of MA(HIGH FRICTION VEHICLES Non Clutch Slipping Oil)

MB – LOW FRICTION VEHICLES(NOT RECOMMENDED. Clutch Slipping Oil).

এখানে আমরা দেখছি যে “S” গ্রেডের অয়েল পেট্রোল ইঞ্জিনে ব্যবহার করা হয় যার ইগনিশন সিস্টেম স্পার্ক সুতরাং বাইকের জন্য অবশ্যই আমাদের “S” গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে হবে। “C” গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ডিজেল ইঞ্জিনের জন্য এবং MA গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল হলো ওয়েট ক্লোচ টাইপের  ইঞ্জিনের জন্য।

ইঞ্জিন অয়েলের গ্রেড :
Society of Automotive Engineers (SAE) কর্তৃক মোটরসাইকেল ইনজিন ওয়েলের নম্বর ভিত্তিক গ্রেড নির্ধারন করা হয়েছে। মোটরসাইকেলের ইনজিন ওয়েল বিভিন্ন গ্রেডের হয়ে থাকে। গ্রেডের মাধ্যমে মুলত ইনজিন ওয়েলের ঘনত্ব(Viscocity) ও কেমন আবহাওয়ায় কোন যানের জন্য প্রস্তত তা বুঝিয়ে থাকে। গ্রেড সিংগেল এবং মাল্টি দুটিই হতে পারে। আমাদের দেশে মাল্টিগ্রেড ইনজিন ওয়েল ব্যবহার করা হয়। মাল্টি গ্রেড মার্কের দুটি অংশ থাকে। প্রথম অংশটি কমতাপামাত্রায় কার্যকারিতা নির্দেশ করে যেমন 20W, 10W ইত্যাদি। মান যত কম হবে ততো কম তাপমাত্রায় অর্থাত বেশি শীতে কাজ করবে। আর পরের অংশটি গরম বা বেশি তাপ নির্দেশক।

যেমন 30, 40, 50 ইত্যাদি। এই মান যত বেশি হবে ততো বেশি তাপে বা বেশি গরমকালে কাজ করবে। সহজ কথা এই গ্রেড নির্দশকের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি কোনসময়ে কোনটি ইনজিনওয়েলটি ব্যবহার করবো। আমাদের দেশে সাদারনত 10W-30, 20W-40, 20W-50 ইত্যাদি গ্রেড দেখা যায়। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে মোটরসাইকেলের কোম্পানী কতৃক নির্ধারিত গ্রেডের ইনজিনওয়েল ব্যবহার করাই সবচাইতে উত্তম।  বাইক চালাতে নিয়মিত ফুয়েল বা জ্বালানি ভরতে হয়। কারণ ফুয়েল ছাড়া তো ইঞ্জিন চলবে না।

৬০০-৭০০ কিমি পথ চালানোর পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন এবং বাইক সার্ভিসিং করতে হয়। এগুলো না করলে কিছু দিন চালানোর পর বাইক চালানোর অনুপযোগী হয়ে পড়ে। মূলত বাইকে অয়েল ব্যবহার করা হয় লুব্রিক্যান্ট হিসাবে। তাছাড়া বাইকের ইঞ্জিন ঠাণ্ডা রাখা, ইঞ্জিনের কর্ম দক্ষতা বাড়ানো, এন্টি-রাস্ট এজেন্ট হিসাবে এবং প্রটেকশন-এর জন্য ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা হয়। বাজারে বিভিন্ন ধরণের এবং বিভিন্ন গ্রেডের বাইকের ইঞ্জিন অয়েল পাওয়া যায়।

Source: https://cutt.ly/NTqA798

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *